November 24, 2024

Always worth looking into

নিরাপত্তার স্বার্থে বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

সিএইসটি ডেস্কঃ

নিরাপত্তার স্বার্থে বান্দরবানের দুই উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছেন বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

“পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য এবং অনাকাংখিত ঘটনা এড়াতে  আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত  বান্দরবানের রুমা এবং রোয়াংছড়ি উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে”, বলেন বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে কুলসুম।

কেন হঠাৎ করে পাহাড়ে পর্যটকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , “সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ে একটি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানের বিষয়ের সাথে আমি সংশ্লিষ্ট না। কাজেই এই বিষয়ে আমি কোন মতামত বা মন্তব্য করতে পারছি না।”

“আমি যেই বিষয়টাতে অবগত আছি এবং সংশ্লিষ্ট আছি যে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিবেচনা করে আপাতত দুটো উপজেলায় তাদের ভ্রমণটাকে আমরা নিয়ন্ত্রিত করার জন্য বা তারা যেন ভ্রমণ না করেন সেই বিষয়টা আমরা দেখছি”, বলেন উম্মে কুলসুম।

এই বিষয়ে জানতে বান্দরবানের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন শিবলী বলেন “জঙ্গি এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানের প্রেক্ষিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।”

“প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদেরকে জানানো হয়েছে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বান্দরবানের রুমা এবং রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকবাহী কোন গাড়ী চলবেনা”, বলেন বান্দরবানের মাইক্রোবাস , জিপ  এবং পিকআপ মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাসিরুল আলম।

“নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন পর্যটকদের নিকট থেকে যে বুকিং নিয়েছি সেগুলো বাতিল করে দিয়েছি”  বলেন নাসিরুল।

সমতল থেকে আসা জঙ্গিদের ১২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশনা দিয়ে রুমা উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় হেলিকপ্টার থেকে একটি ঘোষণাপত্র ফেলা হয়েছিল বলে স্থানীয়রা জানান।

এইসব জঙ্গী কাদের আশ্রয় এবং প্রশ্রয়ে আছে সে সম্পর্কে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চিতভাবে অবগত  আছে বলেও ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়।

অভিযান দলের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সমতল থেকে পাহাড়ে গিয়ে যে জঙ্গিরা আশ্রয় নিয়েছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।”

“জঙ্গীদের আত্মসমর্পনের নির্দেশনা দিয়ে ইতোমধ্যে আমরা সে এলাকায় ঘোষনাপত্র ও দিয়েছি। নাথান বমের বিষয়েও আমরা খোঁজ খবর নিয়েছি। জঙ্গীদের ধরার জন্য আমরা সেই এলাকার সবার সহযোগিতা চাচ্ছি”,  তিনি বলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা একাধিক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় নাথান বম কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামের একটি সংঘটনের সভাপতি। বিবৃতিতে সেই সংঘটনের কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) নামে একটি সশস্ত্র দল রয়েছে বলেও দাবি করা হয়।

পাহাড়ে কেএনএফের ক্যাম্পে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া তাদের প্রশিক্ষণশিবির স্থাপন করেছে বলে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গনমাধ্যমে  প্রকাশিত হয়।

গত রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সক্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তৎপরতা নিয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে।