সিএইচটি ডেস্কঃ
পার্বত্য চুক্তির পর আমরা দীর্ঘ ২৫ বছর অপেক্ষা করেছি। আশায় বুক বেঁধেছি সরকার চুক্তি বাস্তবায়ন করবে। কোন কিছুরই মূল্য সরকার দেয়নি। উল্টো জুম্ম জনগণের আবেগ আর আশার সাথে খেলা করে চলেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে চারিদিকে আজ নিরাপত্তাহীনতা, ভয়, আতঙ্ক আর হতাশা।
দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণাপূর্বক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবীতে রবিবার রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের মিছিল ও সমাবেশে পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি সুমন মারমা আরও বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সম্পাদনের দীর্ঘ ২৫ বছর পরেও আমাদের প্রাপ্তির খাতা শূণ্য। চুক্তি সাক্ষরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য কোনো রোডম্যাপের দরকার নেই। চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হবে। কিন্তু তার সেইদিনের কথার প্রতিফলন আমরা আজ ২৫ বছরে এসেও দেখতে পাচ্ছি না।”
পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতি রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুমিত্র চাকমা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি আকাশ থেকে পড়েনি। জুম্ম জনগণের জাতীয় অস্তিত্ব সংরক্ষণের জন্য বহু রক্তের বিনিময়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তাই এ চুক্তিকে অবাস্তবায়িত রাখার কোনো অবকাশ নেই। যদি এমনটা হয় তাহলে সরকারকে চুক্তি বাস্তবায়ন করতে বাধ্য করা হবে।”
তিনি আরো বলেন, “চুক্তি অনুযায়ী গঠিত তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদকে অথর্ব করে রাখা হয়েছে। তাই সেসব প্রতিষ্ঠান নিজেদের মতো করে কাজ করতে পারছে না।”
হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সভাপতি ম্রানুসিং মারমা বলেন, “পার্বত্য চুক্তিকে দীর্ঘ ২৫ বছর ঝুলিয়ে রেখে সরকার ভুল করছে। এ চুক্তি এমনি এমনি হয়নি। রক্তে অর্জিত চুক্তিকে বাস্তবায়নের জন্য ছাত্র—যুবসমাজ সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকবে।”
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির রাঙ্গামাটি শহর শাখা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ চাকমা, এবং রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার সদস্য করুন জ্যোতি চাকমা।
More Stories
বাংলাদেশে আদিবাসীদের ভূমিতে কোয়ান্টামের নিরবচ্ছিন্ন দখল আক্রমণ
কেন বৌদ্ধ সমিতির প্রতি আস্থা হারিয়েছেন দায়ক দায়িকারা
‘বিপুল চাকমারা হাজারো বিপ্লবী জন্ম দিয়ে গেছেন’