সিএইসটি ডেস্কঃ
দুর্বৃত্তরা বিপুল চাকমাসহ চার নেতাকর্মীকে হত্যা করতে পারলেও তাদের নীতি, আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। আমরা হয়তো বিপুলের মতো ছাত্রনেতাকে হারিয়েছে, তবে বিপুল চাকমারা হাজারো বিপ্লবী জন্ম দিয়ে গেছেন। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া না হলে সরকারকে এ দায় নিতে হবে।
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় ইউপিডিএফের চার নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে লাঠি মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তারা আরো বলেন, যদি ইউপিডিএফ সংগঠক মাইকেল চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনার উদঘাটন হতো, গুম-খুনের বিচার হতো; তাহলে পানছড়িতে এমন খুনের ঘটনা ঘটতো না। ২০১৮ সালে খাগড়াছড়ির স্ব-নির্ভর হতাকাণ্ডের বিচার হলে এই ঘটনার সম্মুখীন হতে হতো না।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি রিপন আলো চাকমার সভাপতিত্বে শুক্রবার জেলা সদরের কুতুকছড়িতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক নিকন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক থুইনু মং মারমা, ও হিল ইউমেন্স ফেডারেশন জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নিশি চাকমা।
এছাড়া সমাবেশে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি রিনা চাকমা।
এর আগে, একটি লাঠি মিছিল কুতুকছড়ি বাজারসহ রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে প্রদক্ষিণ করে।
গত ১১ ডিসেম্বর রাতে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার অনিল পাড়ায় গুলি করে ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠনের চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার পর নিখোঁজ তিনজনকে বৃহস্পতিবার রাতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী উদ্ধারের কথা জানালেও সমাবেশে ইউপিডিএফের নেতারা উদ্ধার ঘটনাকে সাজানো নাটক বলে দাবি করেন।
More Stories
বাংলাদেশে আদিবাসীদের ভূমিতে কোয়ান্টামের নিরবচ্ছিন্ন দখল আক্রমণ
কেন বৌদ্ধ সমিতির প্রতি আস্থা হারিয়েছেন দায়ক দায়িকারা
‘এম এন লারমা ছিলেন একজন মানব মুক্তির নেতা’